ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর এলাকার মা ক্লিনিক এন্ড নাসিং হোম সিজারে প্রসূতির বেশি রক্তক্ষরনের কারনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
১৫ ফেব্রয়ারী মা ক্লিনিকে সন্তান প্রসাবের জন্য ভর্তি হয় আয়শা বেগম (৩২)। সিজার করে সন্তানকে বাঁচা্নো গেলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারনে মাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
অধিক রক্তক্ষরণের কারনে ১৬ ফেব্রুয়ারী রোববার সকালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার শুরুতেই জানা যায় সে মৃত।
নানা আইনী জটিলতার ভয়ে এসব প্রানহানির হয় না কোন বিচার আচার। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে প্রান হারানোর দায় কে নিবে।
আয়শা বেগমের শ্বশুর বাড়ী গৃধারীপুরে সে ওই গ্রামের স্বপন মিয়ার স্ত্রী। ঘোড়াঘাট খোলাহাটি গ্রামে তার বাবার বাড়ী। মৃত আয়শা বেগমের আরো একটি ৪ বছর বয়সি কন্যা সন্তান রয়েছে।
আয়শার স্বামী স্বপন ও তার পরিবারের লোকজন জানায়, গত ১৬ ফেব্রয়ারী রাতে মা ক্লিনিকে ডাঃ ওয়াজেদ মিয়ার তত্ত্বাবধানে সিজার করা হয় । সিজারের পর শিশু সুস্থ্য থাকলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মা আয়শা বেগম গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এরপর সকালে রংপুরে নিলে তার ১৭ ফেব্রুয়ারী সোমবার মৃত্যু হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্বশুরবাড়ী এলাকার স্থানীয়রা জানান,সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা দিলে হয়তো আয়শা বেগমকে বাচানো সম্ভব হতো ।
উল্লেখ্য, এখনো এসব চিকিৎসায় প্রতি দশজনে তিনজন প্রান হারায় সঠিক চিকিৎসার অভাবে।