রাকিবুল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার ধুনটে পাটের বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার পাট চাষে ভাগ্য খুলেছে কৃষকদের ।
অনেক কৃষকরা মাঠে পাট কাটতে শুরু করেছেন। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে পাট কাটার এমন চিত্র এখন চোখে পড়েছে । পাটের বাম্পার ফলনে মাঠে কৃষক ব্যস্ত সময় পার করছেন। পাটের বীজ, সার, কীটনাশকসহ অন্যান্য কৃষি উপাদানের দাম অনুকূলে থাকায় ও কৃষি অধিদফতরের উদ্যোগে এবং অফিসারদের পরামর্শে কৃষকরা এবার পাট চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে খরচ হয়েছে ৭-৮হাজার টাকা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছেন’ বর্তমান মৌসুমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছেন। বেশ কয়েকটি উন্নত জাতের পাট চাষ করার পরামর্শ দেয়া হয়। এসব জাতের পাট ৯ থেকে ১০ হাত লম্বা হয়। পাটের দাম বেশি পেলে চাষিরা পাট চাষে আরো আগ্রহী হয়ে উঠবেন বলে মনে করছেন ।
কালেরপাড়া ইউনিয়নের হেউট গ্রামের পাটচাষি আব্দুল খালেক জানান, চলতি মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে পাটের চাষ করেছিলাম। প্রতি বিঘায় ফলন পেয়েছি ১০ মণ। কৃষি অফিস থেকে আবারো সার্বিক সহযোগিতা পেলে সামনে আরো বেশি জমিতে পাটের আবাদ করব।
পাট ছাড়ানোর সময় শ্রমিক হামিদুলকে জিজ্ঞাসা করলে বলেন, আমরা টাকা দিয়ে পাট ছাড়ানোর কাজ করছি না। কাজ করছি পাট কাটির জন্য। সারাদিন পাট ছিলে যে কাটি পাব তা আমরা নেব। এই পাটকাটি শুকিয়ে বিক্রি করলে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পাব।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মাদ মশিদুল হক জানায়, ‘পাট চাষ ভালো হয়েছে। বাংলাদেশের ঐতিহ্য সোনালি আঁশ হিসেবে পরিচিত পাট হারিয়ে যেতে বসেছিল। এই সোনালি আঁশ নাম ধরে রাখতেই আমরা এবার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি। ভালো বীজ সংগ্রহ ও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে কৃষকের অর্থকরী ফসল পাট চাষ করার চেষ্টা করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে ১০-১২ মণ পাট হচ্ছে। বাজারে প্রতি মণ পাট ৩৫ শেষ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে পাটের চাহিদা ও মূল্য বৃদ্ধির কারণে কৃষকদের পাট চাষে আগ্রহ বাড়বে।’