ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর নিজ নাগরিকত্ব প্রত্যাহার ও বহিস্কারের আবেদন করেছেন পলাশবাড়ীতে অন্যায় অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাফনের কাপড় পরে ৭১ দিনব্যাপী আন্দোলনকারী সাংবাদিকআশরাফুল ইসলাম। তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১১ টায় গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা পোষ্ট অফিসে রেজিস্ট্রি ডাকমূলে এ আবেদনটি পাঠান। এ আবেদনের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নিকট একই সময়ে পাঠানো হয়।
আবেদনটি হুবহু তুলে ধরা হলোঃ
বরাবর,
মাননীয় রাষ্ট্রপতি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
বঙ্গভবন ঢাকা বাংলাদেশ।
বিষয়ঃ দেশ হতে নাগরিকত্ব প্রত্যাহার বা বহিঃস্কার প্রসঙ্গে আবেদন।
জনাব, যথাবিহীত সম্মান প্রর্দশন পূর্বক জানাইতেছি যে, আমি আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ কর্মী ও সাংস্কৃতিক কর্মী সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম , পিতা – মোঃ মকবুল হোসেন,মাতা- আছমা বেগম, গ্রাম-
উদয় সাগর ,থানা – পলাশবাড়ী, জেলা- গাইবান্ধা । জাতীয় পরিচয় পত্র স্মাট কার্ড নং-২৩৭৭৮৮১৪৯১ , মোবা-নং- ০১৭৬৭২০২২২৮ । আমি স্বজ্ঞানে, সুস্থ্ মস্তিষ্কে আমার একক সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাধীন বাংলার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবুর রহমানের স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দেশ পরিচালনার সময়কালে দ্বিতীয় বারের সেই সংগ্রামের পথে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে ৭১ দিনব্যাপী নিজ উপজেলা গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা কে সকল প্রকার অন্যায় অনিয়ম দূর্নীতি বন্ধ করতে ও বিগত সময় সরকারির উন্নয়ন কার্যক্রম গুলো বাস্তবায়নে অনিয়মকারী দূর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি,রাজনীতিবিদসহ যারা অবৈধ পন্থার বৈধতা দিয়ে লাভবান হয়েছেন তাদের শাস্তির দাবী করে এই আন্দোলন। নিজ উপজেলা কে অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতি মুক্ত করতে আন্দোলন চলমান রেখেছি। গত ১০ আগস্ট হতে আমার মায়ের হাতে কাফনের কাপড় পড়ে আজ অবধি আমি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি ৭১ দিনব্যাপী সফল করতে। আন্দোলনের প্রথম সপ্তাহের রবিবার গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক,দ্বিতীয় সপ্তাহের রবিবার রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। তৃতীয় সপ্তাহের রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এককই সময়ে পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক অবস্থান ও স্মারকলিপির অনুলিপি প্রদান করেছি। চতুর্থ সপ্তাহের রবিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তেজগাওস্থ কার্যালয়ের ৪ নং গেটে উপস্থিত হয়ে অবস্থান কর্মসূচী ও স্মারকলিপির অনুলিপি গুলো প্রদান করেছি। এরপর গত তিন সপ্তাহ ধরে
পলাশবাড়ীতে আন্দোলনের বিষয়ে আলোকপাত করে জনসম্মুখে তুলে ধরে প্রতিবাদ সভা অনুষ্টানে অনুমোদন চেয়ে একাধিকবার গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে আবেদন করেও অনুমতি পায়নি। আমার এ গণতন্ত্রাতিক অধিকার খর্ব করার বিচার জানি আমি পাবো না। জানি এই দেশের চাটার গোষ্ঠীকে দমানো সম্ভব নয় রাষ্ট্রের । তবে আমার বিগত সময়ে করে আসা এই অভিযোগ গুলোর তদন্ত ও বিচার এবং চিরতরে এই উপজেলায় সরকারি
কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক নেতা ও গণমাধ্যমকর্মী নামীয় দালালদের সকল প্রকার অন্যায় অনিয়ম -দুর্নীতি বন্ধের জন্য দৃষ্ঠান্ত রেখেদিতে চাই । সেকারণে যদি ৭১ দিনের ভিতরে এই অন্যায়,অনিয়ম,দূর্নীতির বিচার
করা বা তদন্তের ব্যবস্থা করা যদি সম্ভব না হয় তাহলে দয়া করে আমাকে রাষ্ট্রের নাগরিক হতে অব্যহতি প্রদান বা বহিস্কার করিবেন। তা না করিলে কাফনের কাপড় পড়ে আমার চলমান আন্দোলনের ৭১ তম দিন আগামী ২০ অক্টোবর শেষ দিনে সকাল ১১ টায় বঙ্গবন্ধুর টুঙ্গিপাড়ার সমাধিস্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হবো।
অতএব, উপরোক্ত বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনে আপনার মর্জি হয়।
নিবেদক
সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম
অনুলিপিঃ
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ঢাকা ,বাংলাদেশ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তেজগাওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঢাকা বাংলাদেশ।
মাননীয় মন্ত্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার রংপুর / বাংলাদেশ পুলিশ রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি রংপুর / জেলা প্রশাসক গাইবান্ধা / পুলিশসুপার গাইবান্ধা জেলা পুলিশ /উপ-পরিচালক এন এস আই গাইবান্ধা ।