আব্দুল ওয়াদুদ,বগুড়া প্রতিনিধি :বগুড়ায় সন্ত্রাসীদের দুগ্রুপের গোলাগুলিতে রাফিদ আনাম ওরফে স্বর্গ (২৫) নামের এক শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। নিহত স্বর্গ শহরের ঠনঠনিয়া শহীদ নগরের শীর্ষ সন্ত্রাসী লিয়াকত আলীর ছেলে। পিতা লিয়াকতও ২০০৪ সালে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তি জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টায় শহরের নামাজগড় থেকে ধরমপুর রোডের ধুন্দার সেতুর কাছে দু’দল সন্ত্রাসীর মধ্যে গোলগুলি হয়। এ খবর পেয়ে পুলিশ দল সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্বর্গকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। ঘটনান্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তুল, এক রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন, ও একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। সনাতন চক্রবর্তি আরো জানান, স্বর্গের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাদাবাজিসহ বেশ কিছু মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য, কিশোর বয়সেই স্বর্গ দুর্ধষ সন্ত্রাসী হিসেবে বগুড়া শহরে পরিচিত হয়ে উঠে। মাত্র ১৭বছর বয়সে স্বর্গ দুইটি খুনের সাথে জড়িত হয়। একপর্যায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যায়। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকাকালে সেখানেই সন্ত্রাসীদের সাথে একটি গ্রুপ তৈরী করে। গত তিনমাস স্বর্গ ও লিখন নামের দুই সন্ত্রাসী জামিনে মুক্তি পায়। এরপর তারা স্বর্গের নানা বাড়ি নন্দীগ্রাম থানা এলাকায় আশ্রয় নিয়ে চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল। এছাড়াও স্বর্গ জামিনে মুক্তি পেয়ে বগুড়া সদর থানার সাবেক এক ওসিকে হত্যার হুমকী দেয়। ২০০৪ সালে তার বাবা লিয়াকত ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার সময় ওই ওসি বগুড়া সদর থানায় কর্মরত ছিলেন।
Check Also
লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সোনাতলায় ২টি হোটেলের ১ হাজার টাকা জরিমানা
আব্দুর রাজ্জাক,স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ার সোনাতলায় লক ডাউনের দ্বিতীয় দিনে উপজেলার সৈয়দ আহম্মেদ কলেজ ( বটতলা) …