ইকবাল কবির লেমন, বাঙালি বার্তাঃ বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সেবাধর্মী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শফিকুর আলম। সোনাতলায় যোগদানের পর থেকে নানা সেবাধর্মী কাজ তাঁকে বিশেষভাবে আলোচনায় এনেছে। সম্প্রতি নোভেল করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর তাঁর নেয়া বিশেষ উদ্যোগগুলো তাঁকে আবারও আলোচনার পাদপীঠে নিয়ে এসেছে। করোনা সচেতনতায় শুরু থেকেই সচেতনতা কার্যক্রমের পাশাপাশি বাজার মনিটরিং জোরদার করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শফিকুর আলম।
বাজার মনিটরিং এর সময় তিনি ন্যায্যমূল্যে দ্রব্যসামগ্রী বিক্রির আহ্বান জানান। সেই সাথে যে সকল ব্যবসায়ী সততার সাথে ন্যায্যমূল্যে দ্রব্যাদি বিক্রয় করবে, তাদের বিশেষভাবে পুরস্কৃত করার ঘোষণা প্রদান করেন। এর অংশ হিসেবে শনিবার সকালে সোনাতলা পৌর সদরের বড় বাজারে মেসার্স মশলা হাউজ এর স্বত্বাধীকারী মোঃ আমজাদ হোসেন ও মেসার্স পঙ্কজ এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধীকারী পঙ্কজ কুমার সাহাকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির স্বীকৃতি হিসেবে সনদপত্র ও ফুল প্রদান করেন। এ সময় তিনি ঘোষণা দেন পরপর ৩ বার যারা এ সনদ পাবে তাদেরকে আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করা হবে। তিনি অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরও সততার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে এ সম্মান গ্রহণের আহ্বান জানান। জাতির এ ক্রান্তিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শফিকুর আলমের এমন ব্যতিক্রমী ও উজ্জীবনী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীমহলসহ সুধীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, জনবান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শফিকুর আলম সোনাতলায় যোগদানের পর থেকে ব্যতিক্রমী ও সেবাধর্মী কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে জনসাধারণের হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থায়ী আসন করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। সোনাতলার ক্রীড়া,শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ধর্মীয় কার্যক্রমসহ সকল ক্ষেত্রেই রয়েছে তাঁর সাবলিল বিচরণ। এ অঙ্গনগুলোকে উজ্জীবিত করতে তাঁর নেয়া ভূমিকা তাঁকে সোনাতলার মানুষের হৃদয় আসনে আসীন করে রাখবে দীর্ঘদিন এমনটি মনে করেন এলাকাবাসী। ভিখারী থেকে শুরু করে প্রতিবন্ধী, কন্যাদায়গ্রস্থ অসহায় পিতা-মাতা, গরীব-মেধাবী শিক্ষার্থী ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তার প্রয়োজনীয় উদ্যোগটি দ্রুত গ্রহণের পাশাপাশি ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও সহায়তা করে যাচ্ছেন অকাতরে। মানবতার কল্যাণে এমনসব উদ্যোগ সকলের জন্যই অনুসরণীয়।