সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের উইন মিন্টের বিরুদ্ধে আরও দুইটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার তার আইনজীবী খিন মং জাও বলেন, উইন মিন্টের বিরুদ্ধে যে দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে তার একটি হলো সংবিধান লঙ্ঘন। খবর রয়টার্সের
সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে মিন্টের তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
এর আগে নির্বাচনী প্রচারণায় করোনাভাইরাস নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের অভিযোগে উইন মিন্টের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনে দেশটির জান্তা সরকার।
শুনানির তারিখ নির্ধারণ হয়নি বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
মিয়ানমারে গত ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় এনএলডি। তবে এনএলডি নিরঙ্কশ জয় পেলেও সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল।
গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে ওইদিন ভোরে স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ এনএলডির শীর্ষ বেশ কিছু নেতাকে গ্রেপ্তারের পর এক বছরের জন্য মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনী। ক্ষমতায় বসেন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং লাইং।
অভ্যুত্থানের পর সু চির বিরুদ্ধে নিয়ম ভেঙে ওয়াকিটকি কেনা ও করোনাভাইরাস রোধে নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। সোমবার সু চি বিরুদ্ধে নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণ ও জনশান্তি বিনষ্টকারী তথ্য প্রকাশে উসকানির অভিযোগ আনা হয়েছে। সেইসঙ্গে টেলিযোগাযোগ আইনের অধীনে আরেকটি অভিযোগ আনা হয়েছে।