আব্দুর রাজ্জাক, স্টাফ রিপোর্টারঃ করোনাভাইরাসের কারনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার লক্ষে ঔষধ, কাঁচাবাজার, মুদিখানাসহ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া অন্য সব দোকান-পাট বন্ধ ও সব ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধ করে মাইকিং করেছে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা প্রশাসন। সেই থেকে উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের বালুয়াহাটের চা-বিক্রেতারা তাদের স্টল বন্ধ রেখেছে। কিন্তু তাদের ভাগ্যে জোটেনি কোনো সরকারি সহায়তা। ফলে তারা বাবা-মা,স্ত্রী-সন্তান নিয়ে করতে হচ্ছে মানবেতর জীবনযাপন। ৬ এপ্রিল সোমবার সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বালুয়াহাটে চা-বিক্রেতা রয়েছে প্রায় ২২ জন। তাদের মধ্যে শামীম, আমিরুল, মানিক, সাহাবুল, লুৎফর, আনারুল,বিষু,মেহেদুল,এলাজ,মেহেদুল ইসলাম ও মুক্তার জানায়,সরকারিভাবে নির্দেশ পাওয়ার পর থেকে আমরা চা-স্টল বন্ধ রেখেছি। আমরা দিন আনি দিন খাই। বর্তমানে আমরা বাবা-মা ও স্ত্রী সন্তাদের মুখে এক বেলা খাবারও জোটাতে পারছি না। আমরা করুন অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। তারা আরও জানায়,আমাদের ভাগ্যে আজ পর্যন্ত সরকারি কোনো সাহায্য জোটেনি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শফিকুর আলম জানান, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান জানান,আগামীতে তাদেরকে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।
Check Also
সোনাতলায় ৩টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারঃ দুই চোর আটক
বাঙালি বার্তা ডেস্কঃ বগুড়ার সোনাতলায় ৩টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ও আন্ত:জেলা মোটরসাইকেল চোরদলের দুইজন সদস্যকে …